আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের গৌরনদীতে নুসরাত জাহান ঝুমুর (১৬) নামের এক কিশোরীকে মাদক সেবন করিয়ে মোবাইল স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার পর নির্যাতন করে মহাসড়কের পাশে রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। টানা পাঁচদিন শেবাচিম হাসপাতালে অজ্ঞাত পরিচয়ের রোগি হিসেবে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার রাতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত কিশোরী উপজেলার কান্ডপাশা গ্রামের আব্দুর রহমান খানের মেয়ে। সে এবছর এসএসসি পাশ করেছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত প্রেমিক এলাকা থেকে পালিয়েছে।

গত মঙ্গলবার সকালে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, নলচিড়া খানাবাড়ি এলাকার মাহবুব গাজীর ছেলে মাদক সেবী ও বিক্রেতা হৃদয় গাজীর সাথে নুসরাত জাহানের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ওই সম্পর্কের সূত্রধরে গত বুধবার (২৯ মে) কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে যায় হৃদয়। পরবর্তীতে হৃদয় গাজীর খালা বাড়ি মাহিলাড়া এলাকায় নিয়ে নুসরাত জাহানকে মাদক সেবন করিয়ে নির্যাতন করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে মহাসড়কের পাশে ফেলে প্রেমিক হৃদয় পালিয়ে যায়।

নিহতের বোন নুপুর আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার বোন নুসরাত জাহানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে হৃদয় গাজী আমার বোনকে নির্যাতন করে মহাসড়কের পাশে ফেলে পালিয়েছে। আমরা এই পাঁচদিন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেছি। কোথাও না পেয়ে রোববার রাতে গৌরনদী থানা পুলিশকে অবগত করে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের গ্রামের ফেসবুক ব্যবহারকারী এক যুবকের মাধ্যমে জানতে পারি নুসরাত জাহান বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে জানতে পারি নুসরাতের মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ কোতয়ালি মডেল থানায় রয়েছে। পরে সোমবার বিকেলে থানা থেকে লাশ নিয়ে এসেছি। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(টিবি/এসপি/জুন ০৫, ২০২৪)