সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : ৫ জুন বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে বিতরণের জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সালমা আক্তারের নিত্যপণ্য সামগ্রী জব্দ করলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। সোমবার রাত ১২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কেন্দুয়া উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের একটি মহিলা কওমি মাদ্রাসা থেকে সাবান, তেল, জর্দ্দা, টাওয়ালসহ বিপুল পরিমান পণ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত মালামাল চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: এনামুল কবির খানের জিম্মায় রাখা হয়। 

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকধারী চেয়ারম্যান প্রার্থী সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে ০৩ জুন সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা থেকে তার প্রতিদ্বন্ধী এক প্রার্থী, কয়েকজন সংবাদকর্মী এবং জনসাধারণ ক্রমাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাপ্তরিক মোবাইল ফোন ও হোয়াটসএপ নাম্বারে কল করে অভিযোগ দিতে থাকেন।

অভিযোগে জানা যায়, সালমা আক্তার তার নিজ গ্রাম ছিলিমপুরে অবস্থিত তার স্বামী নুরুল ইসলাম ভূঞার মালীকানাধীন মহিলা কওমী মাদ্রাসায় বিপুল পরিমান নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ভোটারদের মাঝে বিতরণের লক্ষে মজুদ করছেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: রাজিব হোসেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: মেহেদি হাসান সহ সংগীয় বিজিবি ফোর্স নিয়ে রাত ১২ টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান ১০/১২ জন লোক দুটি কক্ষে মজুদকৃত মালামাল বিলি ব্যবস্থা করার উদ্দেশে ছোট ছোট প্যাকেটে সাজিয়ে পরিবহনে রেখেছেন। এসময় প্যাকেট করার কাজে নিযুক্ত থাকা এক ব্যক্তির নিকট জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, সালমা আক্তার উক্ত মালামাল পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে ভোটারদের মাঝে বিতরনের জন্য প্রস্তুত করছেন।

এসময় ভবনটি পরিদর্শন কালে সকলের চোখ ফাকি দিয়ে কর্মরত ব্যক্তিগণ পালিয়ে যায়। পরে মালামালের জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: এনামুল কবির খানের জিম্মায় রাখা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে জানতে চাইলে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, বিপুল পরিমান নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। এগুলো ভোটারদের মাঝে বিতরণের জন্য মোটরসাইকেল প্রতীকধারী চেয়ারম্যান প্রার্থী সালমা আক্তার তার স্বামীর মালিকাননাধীন মহিলা কওমি মাদ্রাসায় রেখে ছোট ছোট প্যাকেট আকারে তৈরি করাচ্ছিলেন। বিষয়টি রির্টানিং অফিসার নেত্রকোনাকে জানানো হয়েছে। তিনি নির্বাচন আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্র্থী সালমা আক্তার কে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছেন। পরবর্তীতে কি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী সালমা আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব পণ্য সামগ্রী আমার না। এগুলি মিল্টন নামক এক ব্যবসায়ির। তার ব্যবসায়িক কাজের জন্যই আমাদের মাদ্রাসায় এনে মজুদ করছিলেন। এগুলির সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।

(এসবি/এসপি/জুন ০৪, ২০২৪)