নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে খণ্ডিত লাশের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানা এলাকা থেকে মূল হত্যাকারী ইলিয়াছ আলী (৫৫), আহাদুজ্জামান ফারুক (৩০) ও আব্দুল হান্নান আকন্দ (৬৫) কে গ্রেফতার করা হয়। 

গেফতার ইলিয়াছ ঈশ্বরগঞ্জের গোহাইলকান্দি গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে। আহাদুজ্জামান একই থানার চর হোসেনপুর এলাকার মৃত আক্তারুজ্জামানের ছেলে। হান্নান নান্দাইল থানার বলাশপুর গ্রামের মৃত মীর হোসেন আকন্দের ছেলে।

এর আগে গত ২ জুন সকালে ময়মনসিংহের সুতিয়া নদী থেকে এক যুবকের ৪ খণ্ডিত লাশ পাওয়া যায়। শুরুতে নিহত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। পরে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে নিশ্চিত হয়, নিহত যুবক ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার নাম ওমর ফারুক সৌরভ (২৪)। সে ঈশ্বরগঞ্জের তারাটি গ্রামের মোঃ ইউসুফ আলীর ছেলে।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ইলিয়াছ ও ওমর ফারুক সৌরভ পরস্পর আপন চাচা ভাতিজা। আসাামি ইলিয়াছের মেয়ে ইভা আক্তারকে সৌরভ (২৪) গোপনে বিবাহ করে। এর আগে ইভার অন্যত্র বিবাহ হয়েছিল। বিষয়টি ইভার বাবা-মা জানতে পেরে চরম ক্ষিপ্ত হয়। এবং এই বিবাহ কোনক্রমেই মেনে নিবে না বলে জানায়। পরবর্তীতে গত ২ জুন বিকালে সৌরভ ময়মনসিংহে নিয়ে আসে। সৌরভ বাসায় গেলে চাচা ইলিয়াছ বাসার নিচ তলায় একটি ভাড়া করা কক্ষে নিয়ে হাত-পা বাঁধে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইলিয়াছের শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক (৩০) কে ফোন করে ময়মনসিংহ বাসায় ডেকে নিয়ে আসে। এবং এক পর্যায়ে দু’জন মিলে সৌরভকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সৌরভের মৃত দেহের শরীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা এবং দুই পায়ের ঊরু বিচ্ছিন্ন করে পলিথিনে প্যাকেট করে লাগেজের মধ্যে রাখে। মাথাটি স্বচ্ছ পলিথিনে মুড়িয়ে একটি শপিং ব্যাগে রাখে। পরে প্রাইভেটকারের ব্যাগ ডালার ভিতরে নিয়ে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন মনতলা ব্রীজের উপর হতে সুতিয়াখালী নদীতে ফেলে দেয়।

(এনআরকে/এসপি/জুন ০৪, ২০২৪)