স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পাঠানো হয়েছে।

সিয়াম হোসেনের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানায়। তার গ্রামের নাম কুতুবা। বাবার নাম মো. আলাউদ্দিন। তিনি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হত্যাকাণ্ডের সময় সিয়ামও ভারতে ছিলেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। সিয়াম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর নেপালে পালিয়ে গেছেন বলেও ইতিমধ্যে তদন্ত সংস্থা জানতে পেরেছে।

এমপি আনার হত্যার তদন্তের জন্য গত ১ জুন সকালে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। দলে ডিবির দুজন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

সিয়ামকে নেপাল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানায় পরোয়ানা ইন্টারপোলের মাধ্যমে নেপাল সরকারের কাছে হস্তান্তর করার পর তাকে ফেরত আনা সহজ হবে বলেই এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনেও উল্লেখ করেছেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি না করা হলে সিয়ামকে ফেরত আনা সম্ভব হবে না।

এ মামলায় আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান শিমুল, শিলস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ৫ দিনের রিমান্ডে ডিবির হেফাজতে রয়েছেন। কত ৩১ মে তাদের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত ২৪ মে এই তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তার মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

(ওএস/এএস/জুন ০৩, ২০২৪)