দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : ধামরাই কায়েত পাড়াস্থ জগন্নাথ মন্দিরের ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বাবা লোকনাথ ব্রক্ষজারীর আশ্রমে বাবা লোকনাথের ১৩৪ তম তিরোধান স্মরোণোৎসব পালন উপলক্ষ্যে রবিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

ভোরে আশ্রম মন্দির থেকে বাবা লোকনাথের নারী পুরুষ ভক্তরা নগর কীর্ত্তন বের করে। ধামরাই মাধব মন্দির সংলগ্ন বাবা লোকনাথ আশ্রম ও জগন্নাথ মন্দির থেকে নগর কীর্ত্তন শোভাযাত্রাটি পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক ও কায়েত পাড়ার এলাকা প্রদক্ষিণ করে মন্দিরে এসে শেষ করে।

সকাল থেকে বাবা লোক নাথের নারী ও পুলুষ ভক্তরা উপবাস থেকে মন্দির ও আশ্রমে আসেন। সাথে ফুল,বেলপাতা, চন্দন ঘি, ডাব, ফল মিষ্টি মোমবাতি ধূপকাঠি ও ধূপ নিয়ে ঢালা সাজিয়ে আসে মন্দির আশ্রমে।

সকাল বাল্য ভোগ পর্ব অুনুস্থিত হয়। বাল্যভোগ ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

দুপুর বারটায় বাবা লোকনাথ ব্রক্ষচারীর আশ্রমে বাবা লোকনাথের ১৩৪ তম তিরোধান স্মরোণোৎসব দিবস পালন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল থেকে বাবা লোক নাথের নারী ও পুলুষ ভক্তরা উপবাস থেকে মন্দির ও আশ্রমে আসেন। সাথে ফুল, বেলপাতা, চন্দন, ঘি, ফল মিষ্টি মোমবাতি ধূপকাঠি ও ধূপ সিয়ে ঢালা সাজিয়ে আসে মন্দির আশ্রমে।

বাবা লোকনাথ ব্রক্ষজারীর আশ্রমে কমিটির সভাপতি শ্যামল ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ধামরাই পৌরসভার মেয়র ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম কবীর মোল্লা । অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষন দেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ পাল।আরো উপস্থিত ছিলেন দুলাল সরকার । সার্বিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ও ভাষণ দেন ঢাকা জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন।

মেয়র কবীর বলেন আপনাদের এ উৎসব ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্য ও সুষ্টু সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হবে ।এ জন্য আমি ও পৌরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিত করছি ও করবো। মেয়র মন্দির উন্নয়নে তার সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।তিনি এ উৎসবমুখর পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হন।

এর পর দুপুর আড়াইটায় রাজ ভোগ অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো ভক্তবৃন্দের মাঝে রাজ ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মঙ্গল আরতি ও কীর্তন পরিবেশিত হয় এসময় ভক্তদের উলুধ্বসিতে উৎসবমুখরতা বিরাজ করে। রাত নটায় দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন শেষে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

(ডিসিপি/এএস/জুন ০২, ২০২৪)