মোঃ সিরাজ আল মাসুদ

আমি চল্লিশোর্ধ্ব পেরিয়ে অজানা পথের পথিক
পথের পাশে রঙিন কৃষ্ণচূড়ার রূপে ঝলসে উঠি
বহু কষ্টে মগডালের লাল টুকটুকে দুটো ফুল এনে
সবুজ ঘাসের বুকে মেলে ধরি

যদি তারা কোন একদিন ডানা মেলে প্রজাপতি হয়ে যায়

তোমাকে যেদিন প্রজাপতির ডানা ছুঁতে
তাদের পিছু নিতে দেখেছিলাম
সেদিন হতে প্রজাপতিই হয়ে উঠেছে আমার পছন্দের সেরা কীট

জানি না
তেপান্তরে প্রজাপতি আছে কি না
বা তাদের রঙিন ডানায় স্পর্শ করার সেই তুমিটি বেঁচে আছো কি না
কালের বিবর্তনে
হেঁসেল ঠেলা কিশোরী বধুটিও
গ্যাসের চুলোয় দিয়াশলাই জ্বালে
বাহারি রঙে ঠোঁট রাঙ্গায়
শরীরের স্পর্শকাতর অংশ দেখিয়ে
আধুনিক খাতার ভাজে নাম লেখে

এ জীবনে কৃষ্ণচূড়ার তলে দাঁড়িয়ে
তীব্র দাবদাহে তোমার শাড়ির আঁচলে
আমার মুখচ্ছবির ফসিল আঁকা হবে কি না
তবে এটা আমার পুরনো আবদার

তুমি বলছিলে নিছক ছোঁয়ার বাহানা!

শরীর দিয়ে যদি আগলে রাখা যেত
নতুবা পুরুষ যদি শরীরটাই ভালবাসতো
তাহলে জন্মের পর সকল পুরুষের ঠিকানা হতো পতিতালয়
তাহলে তুমি-তোমরা মাতৃত্বের স্বাদ পেতে না কোনদিন

অগণিত ভালবাসা
মনের সাথে মনের গাঁথুনি
হাতের তালুতে আঁকা হাত
শরীরের উপর শরীর
অধরে আঁকা চুমুর উঠোন

যেন কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ির পরাগায়ন
দুচোখে লাল রঙা আবীর
লন্ডভন্ড এক টুকরো ঝড়
সবুজের বুকে এঁকে যাওয়া টুকটুকে পাপড়ি
যেন তোমার শাড়ির আঁচল খানি
এক আঁজলা জল
তীব্র দাবদাহে বেঁচে উঠার করুন আকুতি

যেন অনেক সবুজের মাঝে
প্রকৃতির ঠোঁটে ঝুলানো একটি কৃষ্ণচূড়া...