আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি আদালত এ রায় দেন। ওই মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা।

শুক্রবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বর্তমান বা সাবেক কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেন।

আগামী ১১ জুলাই এ মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তাকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।

রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, এটা তার জন্য মর্যাদাহানিকর। তিনি ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা এই মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। তার হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প।

যদিও ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটিই একমাত্র মামলা নয়। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলছে।

এছাড়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষের পর হোয়াইট হাউস থেকে সরকারি গোপন নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে তার ঘাড়ে।

এদিকে, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও জো বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়বেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়লেন তিনি।

(ওএস/এএস/মে ৩১, ২০২৪)