তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও বৃষ্টিপাতে ৪০০ ঘর প্লাবিত ও সহস্রাধিক মাছের ঘের ভেসে গেছে। উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের মাঝে শুকনা ও রান্না করা খাবার বিতরন করেছে।

গত রবিবার বিকেল থেকেই জেলার সর্বত্র বৃষ্টি আর সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। তা অব্যাহত থাকে সোমবার সারা রাত। ঝড়ো হাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমানে গাছ পালা ভেঙ্গে পড়ে। তবে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া নিম্নাঞ্চল। তাই এই দুই উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশী হয়েছে। তবে বিদ্যুত এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করতে পারেনি প্রশাসন।

তবে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক জানিয়েছেন, সাড়ে তিনশত বাড়ি-ঘরে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। প্রায় ৪০০ লোককে বাশবাড়িয়া হাই স্কুল, পাটগাতি স্কুল, সরদারপাড়া স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১০০ পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবারও বিতরন করা হয়েছে।

এদিকে, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর আক্তার জানান, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় অনেক জায়গায় তারা খোজ খবর পুরাপুরি নিতে পারেননি। তবে যতটুটু জেনেছেন তার ভিত্তিতে তিনি বলেন, বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

অন্যদিকে, জোয়ার ও বৃস্টির পানিতে আউস ধানের বীজতলা ও নিচু এলাকার শাকসব্জি, পাট তলিয়ে গেছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার জানিয়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

(টিবি/এসপি/মে ২৮, ২০২৪)