মোঃ শান্ত, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। প্রতিবছরই ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। এবারও ঠিক একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তলিয়ে গেছে ফতুল্লার অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও অলিগলি।

গত ২৭ মে ভোরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের পাশাপাশি নামে বৃষ্টি দুপুর পেরিয়ে বিকেল হলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের বৃষ্টির প্রভাব একটুও কমেনি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায়। অলিগলি আর সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় ব্যাপক। পানি সরে যাওয়ার পথ না থাকায় এই ভোগান্তি চলে দিনভর। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া কর্মজীবীদের মাড়াতে হয়েছে নোংরা পানি। যাঁরা রিকশায় জলাবদ্ধ সড়ক অতিক্রম করেছেন, তাঁদের গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত অর্থ। জলাবদ্ধতার সুযোগে বাড়তি ভাড়া হাঁকেন রিকশাচালকেরা।

দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর, ফতুল্লা স্টেশন রোড, হাজিবাড়ি রোড, উকিলবাড়ি, লালখা, শিয়াচর, সস্তাপুর, রামারবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কে-সড়কে জমে আছে পানি। নালা থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ। পানি সরছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের বৃষ্টিতে পুরো ফতুল্লা পানি জমে রয়েছে। হেঁটে রাস্তা পার হতে গেলে ড্রেনের ময়লা পানির বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় বাসিন্দাদের। কারখানার শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তি নিয়েই নিজ কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তি অব্যাহত থাকলেও সমাধান করতে পারেননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বরং প্রতিবছর ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ চলমান বলা হয়। গত বছর বেশ ঘটা করে ফতুল্লার খাল, নালা পরিষ্কার করা হলেও এবার খুব একটা কাজে দেয়নি। বরাবরের মতো এবারও জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়েছে বাসিন্দাদের।

ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আমাদের বাসার সামনে হাঁটুর পরিমাণ পানি। নালার ঘন কালো পানি রাস্তায় উঠে এসেছে। এই কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়নি। যারা বের হয়েছে, তারা ময়লা পানি মাড়িয়েই চলাচল করেছে। প্রতিবছরই এই সমস্যার মুখোমুখি হই আমরা।’

ফতুল্লা শিয়াচর এলাকার বাসিন্দা কাইয়ুম বলেন, ‘রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে চলাচলে অসুবিধা হয়। কয়েক দিন আগেও নালা পরিষ্কার করা হয়েছে। তারপরও পানি সরছে না। আর কীভাবে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাব, জানি না। বছরের পর বছর একই ভোগান্তি নিয়ে চলছি আমরা।

(এস/এসপি/মে ২৮, ২০২৪)