স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতাসীন সরকারের চতুর্দিকে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল দাবি করেন, এই সরকার পচে গেছে, একেবারে দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে। তারা মুখে যতই কথা বলুক, যাই করুক, আসলে এদের কোনও অস্তিত্ব নেই। তার প্রমাণ আজকে একেক করে বের হচ্ছে সব জায়গায়।

তিনি বলেন,এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। এ সময় তিনি সাবেক সেনাপ্রধান (অব.) জেনারেল আজিজ এবং পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদের দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, উনার তো পদত্যাগ করা উচিত। আমি বলব- আপনারা অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন। আপনাদের এখন যাওয়ার সময় হয়েছে। আর ঘুরাঘুরি করে লাভ নাই। মানুষ যেন মনে রাখে নিজেদের দাফন কাফন যেন সুন্দর হয় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।

‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ভূমিকা ও তালাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার অনন্য অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। মুক্তিযোদ্ধা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। সবাই রাস্তায় নেমে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আবারো দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। খুব অল্প মধ্যে সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অভূতপূর্ব উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদেরকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। মৃতপ্রায় জাতিকে তিনি স্বপ্ন দেখিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি সততার পরাকাষ্টা দেখিয়েছেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশকে তলাবিহিন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আমাদেরকে একটি নতুন ভূখণ্ড এবং নতুন একটি জাতিসত্ত্বা দিয়েছেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্থপতি। এ সময় তিনি ঘূর্ণিঝড় রেমালে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানন। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাফা সীমান্তে ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

(ওএস/এএস/মে ২৮, ২০২৪)