সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন লিটন ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় যাছায় বাছায় শেষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন গত ১৯ মে রোববার যথাযথভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

২০ মে সোমবার ভৈরব-কুলিয়ারচর-বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর রিটার্নিং অফিসার ও কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লিটন তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাকে কুলিয়ারচরের সর্বস্তরের মানুষ ভালবাসেন। আমার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। সেই কারণেই আমার বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী হননি। তবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আরও প্রার্থী থাকলে, ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হতে পারলে আমি আরও বেশি খুশি হতাম।’ তিনি বলেন, উপজেলাবাসীর প্রতি আমার দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল। আমি চেষ্টা করবো মানুষের ভালবাসার প্রতিদান দিতে। তিনি আরও বলেন, এলাকার এমপি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন আমাদের পারিবারিক অভিভাবক। কুলিয়ারচরকে নিয়ে তাঁরও অনেক এজেন্ডা আছে। সেগুলিও বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফারজানা আলম বলেন, চেয়ারম্যান পদে আবুল হোসেন লিটন ছাড়া আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় যথাযথভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তফসিল অনুযায়ী গত ১২ মে মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাইয়ের দিন আবুল হোসেন লিটন এর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তার কর্মী-সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের তোড়া ও ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসছেন। প্রতিদিনই ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।

আবুল হোসেন লিটন কুলিয়ারচরের বিশিষ্ট শিল্পপতি মরহুম আলহাজ্ব কাঞ্চন মিয়ার সুযোগ্য সন্তান, কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা সিআইপি মরহুম আলহাজ্ব মো. মুছা মিয়া ও কুলিয়ারচর পৌরসভার প্রয়াত মেয়র আবুল হাসান কাজলের আপন ছোট ভাই এবং কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান এর চাচা।

(এসএস/এএস/মে ২০, ২০২৪)