তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিতে মো. ওসিকুর ভুইয়া নামের এক যুবক নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘোরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি  করা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ম্মারকলিপি পেশ করা হয়। 

আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গোপালগঞ্জ শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলীর কর্মী সমর্থক, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষুব্ধরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘোরাও করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

ঘেরাও কর্মসূচী চলাকালে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান লিটন, যু্বলীগ নেতা জাহেদ মাহমুদ বাপ্পী, রনি হোসেন কালু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্যা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

পরে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়া হলোও সাধারণ মানুষ তা মেনে নিয়েছিল। অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূইয়া লুটুল ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলীর সমর্থকদরে মধ্যে চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিপক্ষের গুলিতে মো. ওসিকুর ভূইয়া নিহত হয়। আহত হন আরো ৫ জন। ওসিকুর পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলীর সমর্থক ছিলেন। গত ১৫ ও ১৬ মে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচী করেছে।

এ ঘটনায় নিহতের বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে ১৭মে বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটিুল সহ ৭৩ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

(টিবি/এসপি/মে ১৯, ২০২৪)