কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের চরআমতলা গ্রামের তিন সহোদরের বসতঘর, আসবাবপত্র, নগদ টাকা, ধান চাল, কাপড় চোপড়, ও স্বর্ণালংকার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা দাবি তুলেছেন।

রবিবার রাত অনুমান রাত ১টার দিকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে ওই গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমানের ছেলে কৃষক জসিম উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন ও রুকনউদ্দিনের এক সারিতে তৈরী তিনটি বসতঘর, আসবাবপত্র, নগদ দুই লক্ষাধিক টাকা, কাপড় চোপড়, ধান চাল ও স্বর্ণালংকার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রতিবেশী স্বজনরা আগুন নেভানোর প্রাণপণ চেষ্ঠা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

সোমবার বিকালে সরেজমিন গেলে চরআমতলা গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক আব্দুর রহমান জানান, এ সময় চোখে ঘুম আইছিল। এমন সময় রাত ১ টার দিকে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে দৌড়ে ঘর থেকে বের অইয়্যা দেহি আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতাছে। আমার তিন ছেলের আধাপাকা বসতঘর, আসবাবপত্র, তিনটি ফ্রিজ, কাপড় চোপড়, নগদ টাকা, ধান চাল ও স্বর্ণালংকার সহ সবকিছুই পুড়ে গেছে। তিনটি পরিবারের সদস্যদের পরনের কাপড় ছাড়া তারা ঘর থেকে আর কিছুই বের করে নিয়ে আসতে পারে পারছে না। গ্রামবাসি আগুন নেভানোর চেষ্ঠা করতে থাকে। এমন সময় ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।

তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, কি সর্বনাশ অইলো গো। আমার তিন পুতের সব পুড়ে শেষ অইয়া গেছে। ভাত খাওনের একটি থালা বাটিও পর্যন্ত নাই। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো আজিজুর রহমান, রোয়াইলবাড়ী আমতালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আকন্দকে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দেখে তিনটি পরিবারের সদস্যদের পাশে দাড়ানোর আশ্বাস দেন।

ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আকন্দ বলেন, তিনটি ভাই যথেষ্ট সচ্ছ্বল অবস্থায় ছিল। তারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাদের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তাতে তাদের মাথায় হাত পড়েছে, এটা পুষিয়ে নেওয়ার মত সরকারের নিকট আর্থিক সহায়তা দাবি করেন তিনি।

(এসবিএস/এএস/মে ১৩, ২০২৪)