সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : রবিবার এসএসসি পরিক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ৪৯ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮ জনই জিপিএ ৫- পেয়ে আনন্দে উচ্ছসিত। শুধু বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকরাই নন সারা উপজেলাবাসী স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ফলাফলে অত্যন্ত আনন্দিত। এই ফলাফলের মধ্য দিয়ে নেত্রকোনা জেলায় শতভাগ পাস করে সেরা অবস্থানে রয়েছে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ।

নন্দিত কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ তার পৈতৃক ভিটা কুতুবপুর গ্রামেই নিজ হাতে গড়ে তুলেন শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। ১৯৯৬ সালে এর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়। বিশিষ্ট শিল্পী ও নাট্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছিলেন। হুমায়ন আহম্মেদ সেদিনের অনুষ্ঠানে দেশের প্রায় সব তারকা শিল্পীদের আমন্ত্রন করে এনে ছিলেন এই বিদ্যাপীঠের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে।

শহিদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, ২০০৬ সালে এই বিদ্যাপীঠ একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। গ্রামের ছেলে মেয়েদেরকে আধুনিক ও বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষেই কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ স্যার এই বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দীর্ঘদিন নিজস্ব অর্থায়নে এই বিদ্যাপীঠ পরিচলনা করেন তিনি। তার মহা প্রয়ানের পর পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন হুমায়ন পত্নী মেহের আফরোজ শাওন।

রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আকন্দ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ২০১৯ সালে ৮ম শ্রেণি এবং ২০২২ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এমপিও ভুক্তি লাভ করে শহীদ স্মৃতি বিদাপীঠ। এমপিও ভুক্তির কাজকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাস্তবায়ন করেছেন বাংলাদেশ আওমীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোনা ৩- আসনের সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল।

তিনি বলেন, এমপিও ভুক্তির ফলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আগ্রহ শতভাগ বেড়ে যায়। তারা আন্তরিক ভাবে পাঠ দান কার্যক্রমে গতিশীল ভূমিকা রাখেন। যার ফলেই আজকের এই ফলাফল।

প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, ৩১৯ জন শিক্ষার্থী ও ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এগিয়ে যাচ্ছে। ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের অবদানের পাশাপাশি অভিভাবক ও সমস্ত এলাকাবাসীর অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

(এসবিএস/এএস/মে ১৩, ২০২৪)