সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাট জেলাজুড়ে বয়ে যাওয়া হিটওয়েভের মধ্যে আজ শনিবার বিকাল ৩টায় মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা অতিতের যেকোন সময়ে এ জেলার সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা। এসময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল মাত্র ২৮ শতাংশ। 

মোংলা আবহাওয়া অফিসের বলছে, গতকাল শুক্রবারের চেয়ে বাগেরহাটের তাপমাত্র শুন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গত পাঁচদিন ধরে বাগেরহাটে তাপমাত্রার পারদ উর্ধমুখি থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া লোকজন বাড়ী থেকে বের না হওয়ায় শ্রমিক সংকটে অনেক মিল- কারখানার উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। হিটওয়েভের কারনে সড়ক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ গলে একাকার হয়ে ভয়াবহ অবস্থা ধারন করেছে। সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলও অনেক কমে গেছে। অতি-প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরবাড়ী থেকে বের হচ্ছেনা। ডায়রিয়া, পেটের পিড়া, জ¦র-কাশি নিয়ে একমাত্র জেলা ২৫০ বেড হাসপাতালের ৩২ বেডের শিশু ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছেন ১১২ জন শিশু। তীব্র তাপদাহে বাগেরহাটের জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানান, শনিবার বিকাল ৩টায় মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা অতিতের যেকোন সময়ে এ জেলার সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা। এসময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল মাত্র ২৮ শতাংশ। গতকাল শুক্রবারের চেয়ে বাগেরহাটের তাপমাত্র শুন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বৃষ্টি না হলে বাগেরহাটের তাপমাত্র আরো বাড়তে পারে বলে জানান এই আবহওয়াবিদ।

বাগেরহাট আন্তজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকী জানান, গত পাঁচদিন ধরে বাগেরহাটে তীব্র তাপদাহের কারনে লোকজন বাড়ী থেকে বের না হওযায় সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলও অনেক কমে গেছে। শনিবার দুপুর থেকে সড়ক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হিটওয়েভে রাস্তার পিচ গলে একাকার হয়ে ভয়াবহ অবস্থা ধারন করেছে। এই অবস্তায় সড়ক মহাসড়কে নিরাপদ যানচলাচলও কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।

বাগেরহাট ২৫০ বেড জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার সমাদ্দার জানান, বাগেরহাট ২৫০ বেড জেলা হাসপাতালের ৩২ বেডের শিশু ওয়ার্ডেই ডায়রিয়া, পেটের পিড়া, জ¦র-কাশি নিয়ে ১১২ জন শিশু ভর্তি রয়েছেন। তীব্র তাপদাহে হিটস্টোক থেকে বাঁচতে লোকজনকে অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া ও শিশুসহ সবাইকে সুপেয় পানি পান করার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

(এস/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০২৪)