মাহমুদ ফজল, মাগুরা : ২য় ভাষাসৈনিক খান জিয়াউল হক আবৃত্তি স্বর্ণপদক পেলেন সাতক্ষীরার আনিকা উলফাত এশা। পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক, সার্টিফিকেট ও সম্মািন দেওয়া হয়। গত শুক্রবার ও শনিবার মাগুরার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান মিলনায়তন এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরার প্রথম আবৃতি সংগঠন কন্ঠবীথি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। চSড়ান্ত পর্বে ০৬ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তারা হলেন সাতক্ষীরা থেকে আনিকা উলফাত এশা, ময়মনসিংহের জিন্নাতুল ইসলাম প্রত্যাশা, চট্টগ্রামের লামিয়া সুলতান ওহী, সিরাজগঞ্জের নুরে জান্নাত, খুলনার শাবাব সায়েম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিন্দিতা ঘোষ প্রজ্ঞা।

সারাদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে চারটি ধাপে বাছাই করে চSড়ান্ত ভাবে ০৬ জনকে নির্বাচিত করা।

প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক পেয়েছেন ময়মনসিংহের জিন্নাতুল ইসলাম প্রত্যাশা এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন চট্টগ্রামের লামিয়া সুলতান ওহী।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন মাগুরার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সংস্কৃতিজন বাবু পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রতিযোগিতার শুরুতে ভাষাসৈনিক খান জিয়াউল হককে নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন তাঁর ছাত্র বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির উপ-মহাপরিচালক ডঃ মোঃ সাইফুর রহমান।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয়ে পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিকার কাজী মাহতাব সুমন ও আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কন্ঠবীথির আহবায়ক ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয়ে পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাজহারুল হক লিপু। প্রতিযোগিতার পর কণ্ঠবীথির ২৬ বছর বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে শতাধিক শিল্পী আবৃত্তি পরিবেশন করে।

(এমএফ/এসপি/মার্চ ০৪, ২০২৪)