আশজাদ রসুল সিরাজী, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকার সন্ধানী পাড়ায় হাঁস চুরির সন্দেহে গাছের সাথে বেঁধে ১২ বছরের এক শিশুকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর ড্রাইভরের বিরুদ্ধে।

শনিবার (০২ মার্চ) দুপুরে শিশুটির মা সাংবাদিক ও স্থানীয়দের কাছে উক্ত অভিযোগ করেন।

তিনি জানান, পিতৃহারা ছেলেকে নিয়ে আমি মজিবুরের বাড়িতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করি। আমার ছেলে চোর না। এলাকার অনেকেই তাকে দিয়ে গাছে ওঠা, বাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছনাতা করানো এসব কাজ করায়। শুক্রবার বিকেলে আমার ছেলেকে হাঁস চুরির অপরাধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে। এ ঘটনার ভিডিও অনেকের কাছে আছে। ঘটনার বিচার চাইতে গেলে স্থানীয় বাড়িওয়ালা আতাউর ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ আচরন করে। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতিত শিশু সোহেল ওরফে পাতলা স্থানীয় মজিবুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে তার মায়ের সাথে কয়েক বছর যাবৎ মজিবুরের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, পিতৃহারা সোহেল ওরফে পাতলা স্থানীয় মজিবুর রহমানের বাড়িতে মায়ের সাথে বসবাস করেন। দুদিন আগে থেকে পাশের বাড়ির আতাউর ড্রাইভারের বাড়ি থেকে একটি হাঁস পাওয়া যাচ্ছিল না। হাঁস চুরির সন্দেহে শুক্রবার বিকেলে সোহেলে ওরফে পাতলাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে তার বাড়ির পাশে কাঠাল গাছের সাথে বেঁধে শারিরীক নির্যাতন করে আতাউর ড্রাইভার। এ সময় বাড়িওয়ালা ও তার মেয়েরা পাতলাকে উদ্বার করতে গেলে আতাউর, তার মেয়ে রেশমা, মেয়ের জামাই দোকানদার মিলন তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও শালিনতাহানীর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তার সোহেল ওরফে পাতলাকে উদ্ধার করে সালনার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাড়িওয়ালা আতাউর ড্রাইভার বলেন, এই ছেলেটির নামে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরির অনেক অভিযোগ আছে। আমি ছেলেটিকে শাসন করার জন্য গাছে বেধে পিটিয়েছি।

(এস/এসপি/মার্চ ০২, ২০২৪)