‘দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য অর্থনীতিকে প্রস্তুত করছে রাশিয়া’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য রাশিয়া তার অর্থনীতিকে প্রস্তুত করছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জার্মান পত্রিকা ওয়েলট অ্যাম সোনট্যাগকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
ন্যাটো প্রধান বলেন, ‘যেহেতু রাশিয়া যুদ্ধনির্ভর অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে, তাই আমাদের নিরাপত্তার জন্য আরও কিছু করতে হবে।’
ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার পথ খুঁজছে না বলে জোর দাবি করে তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের এমন একটি যুদ্ধের জন্য (রাশিয়ার বিরুদ্ধে) নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে, যা কয়েক দশক ধরে চলতে পারে।’
তার মতে, যদি পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) ইউক্রেনে জয়ী হোন, তাহলে রাশিয়ার আগ্রাসন অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়বে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ন্যাটো প্রধান বলেন, ‘ এ কারণে ন্যাটো জোটের উচিত এমন একটি যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা, যা কয়েক দশক ধরে চলতে পারে। ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা খাত আরও দ্রুত প্রসারিত করতে হবে।’
স্টলটেনবার্গ আরও যোগ করেন, ‘ইউক্রেনকে সমর্থন করা ও জোটের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ করা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বোত্তম প্রতিরক্ষামূলক হাতিয়ার। কারণ রাশিয়া ইতিমধ্যেই একটি দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য তার অর্থনীতিকে প্রস্তুত করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা খাতকে আরও দ্রুত প্রসারিত করতে হবে, যাতে আমরা ইউক্রেনে সরবরাহ বাড়াতে পারি ও আমাদের নিজস্ব মজুদগুলো পুনরায় পূরণ করতে পারি। যার মানে, ধীর শান্তিকালীন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে দ্রুততর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় স্থানান্তর হতে হবে, যেমনটি যুদ্ধ সময়ে প্রয়োজন।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় ন্যাটো দেশও অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস জানুয়ারি মাসে বলেছেন, ন্যাটো জোটের উচিত ৫-৮ বছরের মধ্যে একটি ন্যাটো দেশের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত হওয়া।
সুইডেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার মিকেল বুডেন ও বেসামরিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-অস্কার বলিন বলেছেন, দেশের সব নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
নরওয়ের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সরাসরি যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য সময় নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, যুদ্ধ প্রস্তুতির সময়টি কয়েক বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে।
(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪)