স্পোর্টস ডেস্ক : বেশ কয়েক দিন ধরেই ওয়ার্নার বিতর্কে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। ডেভিড ওয়ার্নারের টেস্ট থেকে অবসর উপলক্ষ্যে যেকোনো ধরনের আয়োজনের বিরোধিতা করেছেন তারই সাবেক সতীর্থ মিচেল জনসন। এতেই দলে দুটি আলাদা মতের বিনিময় ঘটে।

জনসনের অভিযোগ, ওয়ার্নার বল টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছেন। যে কারণে ওয়ার্নারের জন্য কেন বিদায় অনুষ্ঠান করা হবে, সেই যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না জনসন। তবে তার এমন অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলে পত্রিকার হেডলাইন হতে চান না, এমন মন্তব্য করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।

এবার সেই বিতর্কের জেরে ধারাভাষ্য থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক বাঁহাতি পেসার জনসন।

মঙ্গলবার পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের ধারাভাষ্যকারদের নাম প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে নাম পাওয়া যায়নি জনসনের। তালিকায় ছিল মার্ভ হিউজ, ওয়াসিম আকরাম এবং মার্ক টেলরের মতো কিংবদন্তিদের নাম।

অথচ, এর আগে জনসন বলেছিলেন, তিনি টেস্ট সিরিজের জন্য ধারাভাষ্য দলের অংশ হবেন। তবে কেন ওয়ার্নারের সমালোচনা করেছেন সেটিও জানিয়েছেন এই সাবেক পেসার। এর আগে ওয়ার্নার তাকে আপত্তিকর ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে জনসন সরাসরি কথা বলতে চাইলে ওয়ার্নার তাকে এড়িয়ে গেছেন।

ওয়ার্নারের সমালোচনা করে জনসন বলেছিলেন, ‘কেউ কি দয়া করে আমাকে বলবেন, কেন আমরা ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি? কিভাবে একজন ফর্মহীন টেস্ট ওপেনার তার নিজের অবসরের তারিখ ঠিক করতে পারেন?’

জনসন যোগ করেন, ‘কেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত একজন খেলোয়াড়কে নায়কের মতো করে বিদায় জানানো হবে?’

জনসনের সমালোচনার পাল্টা জবাবে খাজা বলেন, ‘আমার চোখে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ হলেন নায়ক। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে তারা মিস করেছেন। কিন্তু তারা তাদের কর্মফল ভোগ করেছেন।’

খাজা আরও বলেন, ‘কেউই নিখুঁত নয়। মিচেল জনসনও নিখুঁত নন। আমি নিখুঁত নই। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারও নন। তারা যা করেছে, খেলার জন্যই করেছে। খেলাকে অনেক বেশি এগিয়ে নিতে যেকোনো কিছুই তারা করেছে।’

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩)