গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারীই অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে চিন্তার কোন কারণ নেই উল্লেখ করে বলেছেন, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারী সংসদের মেয়াদ ৫ বছর শেষ হবে। এখানে নির্বাচন না করার কোন সুযোগ নাই। কারণ নির্বাচন না করা হলে তখন সরকার কে থাকবে। এতে যে শুন্যতা সৃষ্টি হবে, এ শুন্যতার দায় কে নিবে। নির্বাচন কমিশন কি এ দায় নিতে পারে। জাতিও নিতে পারে না, সরকারও নিতে পারে না।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দি্নে যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী সিডিউল পরিবর্তন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিএনপি এসে যদি বলে আমরা নির্বাচন করবো, আমাদের প্রস্তুতি নেই। সেক্ষেত্রে আমরা বিষটি বিবেচনা করবো।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার সবই করবো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য যারা আছেন এবং আইন শৃঙ্খলা দেখভাল করার জন্য যারা আছেন এবং নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যারা থাকবেন তারা সবাই কাজ করবে। আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য যত প্রকার প্রচেষ্টা নেয়া দরকার আমরা সব নিয়েছি।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মাঠে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন এখানো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, অতীতে যেহেতু সেনাবাহিনী নির্বাচনের মাঠে ছিলো, এবারও থাকার সম্ভবনা রয়েছে।তবে এখনো সেটি সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার কাজী মাহবুবুল আলম।

এর আগে দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাতে অংশ নিয়ে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

(এমএস/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০২৩)