গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরির বহরে থাকা পাঁচটি ইউটিলিটি ফেরির মধ্যে তিনটি ফেরি দীর্ঘদিন যাবৎ ‘রাতকানা’ হয়ে আছে। ফেরিগুলো হল শাপলা-শালুক, রজনীগন্ধা ও চন্দ্রমল্লিকা।

প্রয়োজনীয় সার্চলাইট না থাকায় সেগুলো রাতের অন্ধকারে চলাচল করতে পারছে না। এতে স্বাভাবিক গাড়ি পারাপার মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দৌলতদিয়া ঘাটে আটকা পড়ে আছে পণ্যবোঝাই তিন শতাধিক ট্রাক।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডাব্লি¬উটিসি) দৌলতদিয়াঘাট অফিস সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিবহরে বর্তমান ৮টি রো রো (বড়), একটি কে-টাইপ (ছোট) ও ৫টি ইউটিলিটি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে ইউটিলিটি ফেরিগুলো বাংলাদেশে তৈরী। প্রতিটি ইউটিলিটি ফেরি দশটি বড় গাড়ি নিয়ে স্বল্প গভীরতা পানির মধ্যেও দ্রুত চলাচল করতে পারে। অথচ প্রয়োজনীয় সার্চলাইট না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত শাপলা-শালুক, রজনীগন্ধা ও চন্দ্রমল্লিকা নামের তিনটি ইউটিলিটি ফেরি রাতে চলাচল করতে পারছে না। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত ওই ফেরি তিনটি ঘাটপন্টুনেই বাঁধা থাকে। এদিকে তিনটি ফেরি নিয়মিত অকেজো হয়ে থাকায় প্রতি রাতে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে স্বাভাবিক গাড়ি পারাপার মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি নদী পারাপার হতে আসা শত শত বিভিন্ন গাড়ি উভয় ঘাটে আটকা পড়ে থাকছে। আজ মঙ্গলবার দৌলতদিয়া ঘাটে আটকা পড়ে আছে পণ্যবোঝাই তিন শতাধিক ট্রাক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিআইডাব্লি¬উটিসির দৌলতদিয়াঘাট ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত তিনটি ইউটিলিটি ফেরি রাতকানা হয়ে আছে। সার্চলাইটের অভাবে সেগুলো রাতে চলাচল করতে পারছে না।’ তবে এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

(জিএইচপি/এটিআর/আগস্ট১৯, ২০১৪)