রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে ইটের ভাটায়। সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙা ইউনিয়নের তুজুলপুরে এ ঘটনার প্রতিরোধে রবিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।

তুজুলপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আজগার আলীর ছেলে রাজীব হোসেন, একই গ্রামের গোলাম রহমান, রেজাউল কমির রেজাসহ কয়েকজন জানান, তাদের গ্রামের সলেমান দালালের চেলে আব্দুল্লাহ দালাল সম্প্রতি তার কৃষি জমির উপরের তিন ফুট করে মাটি ইটভাটার জন্য বিক্রি করে দেন মোহনপুরের মুজিবর সরদারের ছেলে বকুলের কাছে।

ওই জমিতে মাটি বিক্রির জন্য দালের ভূমিকা পালন করেন তুজুলপুর গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, একই গ্রামের কামরুজ্জামান মিণ্টু ও শুকুর আলী। গত এক সপ্তাহ ধরে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তুজুলপুর বলফিল্ডের পশ্চিম পার্শ্বে বকুলের অনুমোদন বিহীন টালি ও ইট পোড়ানো পাঁজায় (মতান্তরে ভাটা)।

এতে এলাকার কৃষি জমি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। এ মাটি বহনকারি ট্রলি চলাচলের ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসিদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দালালরা। জেলা প্রশাসকের কাছে তারা অবিলম্বে এ মাটি কাটা বন্ধ করে কৃষি জমি ও এলাকার পরিবেশ সুস্থ রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে জমির মালিক তুজুলপুরের আব্দুল্লাহ দালালের সঙ্গে সোমাবার বিকেল সাড়ে চারটায় তার০১৭৪০-২৭৩৩৯১ নং মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তুজুলপুর গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর সরদার বলেন, চঞ্চলের ঘেরের বোদমাটি কেটে তারা আব্দুল্লার পুকুর ভরাট করছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।

একই সময়ে মোহনপুরের বকুল সরদার মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে মাটি কিনে পাঁঝায় ইট বা টালি বানিয়ে পোড়ানোর কথা অন্বীকার না করেই বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি একজনের কাছ থেকে শুনে পরে জানাবেন।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযোগ সত্য হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯)