ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ
স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৭ জুন, ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলন সূচনার দিন।
১৯৬৬ সালের এই দিনে বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়। এর মধ্য দিয়ে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ৬ দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। আমি বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফার প্রতি এ দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। ৬ দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ৬ দফা ভিত্তিক ১১ দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।
পাকিস্তানিদের দুঃশাসন থেকে বাঙালির মুক্তির দিশারী হিসেবে ৬ দফা দাবি প্রণয়ন করে জনগণের সামনে বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা-সংগ্রামে রূপ নেয়। ৬ দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বশেষ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬ দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ৬ দফাকে স্থান দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।
সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ উপেক্ষা করে ৬ দফার প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব না দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ওই সম্মেলনে আর যোগ দেননি। তবে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬ দফা উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু।
এর মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আখ্যা দিয়ে সংবাদ ছাপানো হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে ১৩ মার্চ ৬ দফা এবং দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি দলের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।
৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয় আওয়ামী লীগের আন্দোলন। হরতালও ডাকা হয়। হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।
ক্রমেই ৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন তৈরি হয়। জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। ৬ দফাভিত্তিক ১১ দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।
সর্বোপরি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে একচেটিয়া রায় দেন। জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
৬ দফার মূল বক্তব্য ছিল- প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি পৃথক ও সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর ও শুল্ক ধার্য এবং আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
(ওএস/এএস/জুন ০৭, ২০২৩)
পাঠকের মতামত:
- শ্যামনগরে পুলিশের অভিযানে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
- পুরোনো সে দূরভাষ
- থাক না কাছে
- স্ট্যাম্পে লাথি মারায় কঠিন শাস্তি পেলেন ক্লাসেন
- সুন্দরবনে জাহাজে অসুস্থ পর্যটককে জরুরী চিকিৎসা দিল কোস্টগার্ড
- বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বাগেরহাটে বৃষ্টিতে বিপাকে সাধারণ মানুষ
- বাগেরহাটে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার
- ‘বৈষম্যমুক্ত, শান্তি ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ইমামদের সৎ দায়িত্ব পালন করতে হবে’
- ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রুটে ট্রেনের ভাড়া ও সময়সূচি
- ‘জুলাই-আগস্টে নিহতদের ছাড়া কারও প্রতি দায়বদ্ধতা নেই’
- ‘১৫ বছর পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’
- অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শনাক্তে দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশ
- ‘২৮ অক্টোবর জানান দিয়েছিল ক্ষমতায় এসে খুন-গুমের রাজ্য কায়েম করবে’
- ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
- টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২
- ময়মনসিংহে বিদায়ী পুলিশ সুপারকে সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ
- ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে রাজবাড়ীর ১১ ইউপি চেয়ারম্যান
- ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে জেএসপিএসের সেমিনার
- শ্রীপুরে আ.লীগ নেতার বাড়িতে বিষ্ফোরণ, দগ্ধ ২
- গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
- পলাতক ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- ফের বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন ফারিয়া
- সোনারগাঁয়ে বোনের কাছে টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হলেন শিউলি আক্তার
- পাংশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যলয়ে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
- এমিরেটস ফ্লাইট ট্রেনিং একাডেমীতে গ্রাজুয়েট হলেন ৮৫ পাইলট
- রাত পোহালেই পাংশা পৌর ভোট
- আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে দুই বোনের স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা
- সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগ সভাপতি শিহাবের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী মিছিল
- বিজয় দিবসে দেশবাসীকে টাইগারদের জয় উপহার
- টাঙ্গাইলে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
- শতাধিক ভাঙা সেতু দিয়ে ‘বিপজ্জনক’ যাতায়াত
- জরাজীর্ণ ভবনে ‘আতঙ্ক’ নিয়ে পাঠদান
- তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক-রেলপথ অবরোধ
- ‘মওলানা ভাসানী পা থেকে মাথা পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ছিলেন’
- বাগেরহাটে ভারি বৃষ্টিতে শহরের রাস্তঘাটসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- নড়াইলে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৩
- শরীয়তপুরের তিনটি আসনে মোট ২২ প্রার্থী
- হেলাল হাফিজের কবিতা
- কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস আজ
- দেশবাসীকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
- জাতিসংঘে আইসিএসসি'র নির্বাচনে সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ
- জেনে নিন অ্যালোভেরার উপকারিতা
- প্লাস্টিকের ভীড়ে হারাতে বসেছে বাঁশ-বেতের জিনিসপত্র
- ‘দিল্লির দালালরা সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে’
- ‘মমতার বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’