E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

২০২৪ মে ২১ ২০:০৩:০৭
আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক'র বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের নিকট এ অভিযোগ করেন।

মঙ্গলবার ২১ মে দুপুরে অভিযোগকারীগণ সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগের একটি কপি পৌছে দেন। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে তিনটি পদে গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম করছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

সরেজমিনে খোজ নিয়ে যানা যায়, আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, পরিচ্ছন্ন কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে । একই সঙ্গে আরও কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়োগের কথা বলে প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাজিমুদ্দিন আহমেদ রঞ্জু লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। অবৈধভাবে যাতে নিয়োগ বাণিজ্য না করতে পারে তাই এ নিয়োগ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির একজন অভিভাবক সদস্য আরব আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে কোনো কিছুই অবগত করেননি। মিটিং ছাড়াই গোপনে আগে থেকে প্রধান শিক্ষক তিন পদে তেইশ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন।

অভিভাবক সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন,ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক গত নিয়োগে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমান নিয়োগের বিষয়টি কেউ যেন না জানে সেজন্য রাতের আঁধারে নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়েছে।তড়িঘড়ি করে টাকার বিনিময় নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করছে।

পৌর কাউন্সিলর হারুন অর রসিদ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়েছে এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা উচিত। অভিযুক্ত দুই জন গোপনে নিয়োগ দিচ্ছে। আমার জানা মতে প্রধান শিক্ষক তার আপনজন দিয়ে একজনের কাছ থেকে আট লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে নিয়ে ছিল। অন্য জায়গায় বেশি পেয়ে তার টাকা ফেরত দিয়েছে,এরা স্কুলটি ধ্বংস করে দিচ্ছে।

রবিউল আলম, মাসরেকুল হাসান, ওবাদুর রহমান মহাসিন জানান, সম্প্রতি কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে কোনো আলোচনা বা মিটিং না করে গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। স্কুলে আগে ৭০০-৮০০ ছাত্র ছাত্রী ছিল এখন ১৫০-২০০ আছে। এরা স্কুলে সবসময় দূর্নীতি অনিয়মের মধ্যে পরিচালনা করে।পাশের হার নেই,স্কুলটা ধংস্বের শেষ প্রান্তে।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যে কোন লোকের অভিযোগ থাকতেই পারে। পদ্মা সেতু তৈরি করার সময়ও অভিযোগ হয়েছিল। নিয়োগ বিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হচ্ছে। তাছাড়া ল্যাব অপারেটর ৪, আয়া ১৩,পরিচ্ছন্ন কর্মী ৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। তাদের মধ্য থেকে মেধা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী প্রথম হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

নিয়োগ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নাজিমুদ্দিন আহমেদ রন্জু জানান, একটি মহল স্কুল এবং কমিটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উঠেপরে লেগেছে। নিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কোনো অর্থের লেনদেন হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। বিশ্বাস যোগ্য সূত্রে হতে অভিযোগ প্রমানিত হলে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করা হবে। শুনেছি নিয়োগ প্রক্রিয়াটি চলমান। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমীন ইয়াসমীন বলেন, নিয়োগ বন্ধের একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(টিইউ/এএস/মে ২১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test